ডিজিটাল এই সময়ে অনলাইনে আয়ের কথা শোনেননি এরকম কাউকে পাওয়া বোধহয় দুস্কর। অনেকে অনেক পরিশ্রম করছেন টাকা ইনকাম করার জন্য। অনেকে পারছেন আর বেশিরভাগই পারছেন না। তাদের জন্যই আজকে একটি নতুন পদ্ধতির কথা বলবো। এতো সহজে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায় তা আপনি ভাবতেও পারবেন না! খুবই সহজ। চলুন জেনে নেয়া যাক।
ক্লিকসিউর কি?
এক কথায় বলতে গেলে- ক্লিকসিউর একটি মার্কেটপ্লেস। বলে নেয়া ভালো এটা এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি এফিলিয়েট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে ক্লিকসিউর হচ্ছে সবচেয়ে বেস্ট ওয়ে শুরু করার জন্য। এতো সহজ ইনকাম মাধ্যম আমি আর দেখিনি। এখান থেকে এফিলিয়েট লিংক নিয়ে সেল দিতে পারলে আপনি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় এখানের একটা প্রোডাক্টের দাম ৩৯ ডলার কিন্তু আপনি যদি এটা সেল করতে পারেন তাহলে পাবেন ২৫০ ডলার। কী, অবিশ্বাস্য লাগছে? কিন্তু এটা বাস্তব এবং সেকথাই আজকে আমরা জানবো এই লেখায়। ক্লিকসিউরে সাইন করতে এখানে ক্লিক করুন- সাইনআপ ক্লিকসিউর।(CLICKSURE.COM)
খুবই সহজ। লগিন করার পর ক্লিকসিউরের এফিলিয়েট ড্যাশবোর্ড দেখুন- এটা আপনার ড্যাশবোর্ড। এখানে জানতে পারবেন আপনার কতটাকা ইনকাম হলো, কতজন ভিজিটর পেলেন, কোন প্রোডাক্ট বিক্রি হলো ইত্যাদি ইত্যাদি।
মার্কেটপ্লেস নামের একটা মেনু আছে। ওখানে ক্লিক করলে ক্লিকসিউর মার্কেটপ্লেসের প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবেন। এখান থেকে প্রোডাক্ট বাছাই করে মার্কেটিং শুরু করবেন। আপনার লিংক ধরে কেউ প্রোডাক্ট কিনলে আপনি আপনার পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। কীভাবে প্রোডাক্ট বাছাই করবো?
এটা ঠিক- ক্লিকসিউরে বেশ কিছু স্ক্যাম প্রোডাক্ট আছে। তাই প্রোডাক্ট বাছাই করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো ক্লিকসিউর টপ ১০ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করাই ভালো। সুতরাং নতুন হিসেবে আপনিও তাই করুন। পরে এক্সপার্ট হলে নিজেই বুঝতে পারবেন কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। কোনটা মার্কেটিং করলে ভালো সেল হবে আর কোনটা একেবারেই হবে না।
মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার পর প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবেন। যেকোনো একটা প্রোডাক্টের টাইটেলে ক্লিক করুন। ঐ প্রোডাক্টের ডিটেইলস দেখতে পাবেন। প্রোডাক্ট পেজে বেশ কিছু বিষয় দেখতে পাবেন। এখানে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দেয়া হলো। বাকীগুলো ধীরে ধীরে জানলেই হবে।
Clicksure Markeplace product page
প্রোডাক্টের টাইটেল: সবার উপরে এটা দেখতে পাচ্ছেন। এটা হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের নাম।
টাইপ: ক্লিকসিউরে সিপিএ, রেভ্যিনু শেয়ার, সিপিএল এবং এমএলটি এই চার ধরণের পোডাক্ট পাওয়া যায়। আপাতত সিপিএ সম্পর্কে জানুন এবং এই ধরণের প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করুন। সিপিএ মানে হলো: ক্লিক পার একশন। অর্থাৎ এই টাইপের একটা প্রোডাক্ট সেল হলে আপনি কত পাবেন তা আগেই নির্ধারণ করা হয়ে যায়। আরও পজিটিভ হলো: সিপিএ টাইপ প্রোডাক্ট একবার যদি সেল হয় ওটা রিফান্ড হলেও আপনার কোনো সমস্যা নেই। আপনার কমিশন আপনি পাবেনই। প্রোডাক্টের মালিক নিজের পকেট থেকে টাকা রিফান্ড দেবেন। ক্লিকসিউরের সিপিএ প্রোডাক্টের ভ্যালু থাকে ২০০ ডলার, ২৫০ ডলার বা আরও বেশি। অর্থাৎ একবার সেল হলেই আপনি ২০০-২৫০ ডলার পেয়ে যাবেন।
উইকলি নেট: এখানে ৭/১১/১৮/২৫/৩২ যেকোনো একটা দেখতে পাবেন। এর অর্থ হচ্ছে আপনার ঐ প্রোডাক্টটা সেল হওয়ার পর আপনি যে ডলার পাবেন সেটা
ক্যাম্পেইন পেআউট: এটার মানে হলো আপনি কত পাবেন যদি এই প্রোডাক্টটা একবার সেল করতে পারেন।
কান্ট্রিজ এলাউড: এই প্রোডাক্টটা আপনি কোন কোন দেশে মার্কেটিং করতে পারবেন?
জেভি ইউআরএল: এখানে একটি লিংক পাবেন। এটা একটা মাজার বিষয়। প্রোডাক্টের মালিক এই প্রোডাক্টটি কীভাবে মার্কেটিং করবেন সেসব বিষয় লিখে রেখেছেন এই জেভি পেজে। ওখান থেকে লেখা, ভিডিও ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মার্কেটিং করবেন।
ল্যান্ডিং পেজেস: এই ট্যাবের অধীনে থাকা লিংকটিই হচ্ছে আপনার এফিলিয়েট লিংক ঐ প্রোডাক্টের জন্য। এভাবে ক্লিকসিউরের প্রতিটি লিংকের জন্যই আপনি আলাদা এফিলিয়েট লিংক পাবেন। এবং এই লিংকটিই আপনি মার্কেটিং করবেন। এই লিংকে ক্লিক করে এসে কেউ ঐ প্রোডাক্টটি কিনলেই আপনি আপনার প্রাপ্য টাকা পাবেন।
আশা করি উপরের ব্যাপারগুলো আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে। তারপরও কোনো সমস্যা থাকলে কমেন্টে জানান। অবশ্যই হেল্প করা হবে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কোথায় মার্কেটিং করবেন? ক্লিকসিউর প্রোডাক্ট কোথায় মার্কেটিং করবো?
অবশ্যই রিচ কান্ট্রিগুলোর কমিউনিটিতে মার্কেটিং করবেন। কারণ এগুলো আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের কেউ কিনবে না। যদি আরও ডেডিকেটেড করে বলা যায় তাহলে বলতে হবে আপনি শুধুমাত্র আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য এই চারটি দেশেই শুরুতে মার্কেটিং করবেন। কেন সেটা পরে বলা হবে। তো এই দেশগুলোর কমিউনিটি কীভাবে খুঁজে পাবেন? এজন্য গুগলের সহায়তা নিন। আর আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলবো প্রাথমিকভাব আপনি শুধু ফেসবুক টার্গেট করুন। ফেসবুকে খুঁজলে অনেক গ্রুপ এবং ফ্যানপেজ পাবেন যেখানে লোক নানা কিছু জানতে চায়। এর মধ্যে প্রধান হলো: কীভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করবো? তো ফেসবুকের এরকম গ্রুপ এবং ফ্যানপেজগুলো খুঁজে নিয়ে ওগুলোতে জয়েন করুন। কিছুদিন ঐ গ্রুপ এবং ফ্যানপেজগুলো দেখার পর ওগুলোতে আপনার প্রোডাক্টের লিংকসহ মার্কেটিং করুন এভাবে: “এটা এই প্রোডাক্ট, এটা দিয়ে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। তুমি এটা কিনে চেষ্টা করে দেখতে পারো। আর যদি না পারো তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে তুমি তোমার টাকা ফেরত নিতে পারবে।”
এইরকমই হবে আপনার বক্তব্য। এভাবে প্রতিদিন যদি ১০০টা গ্রুপ এবং ফ্যানপেজে মন্তব্য করেন দেখবেন আপনি ট্র্যাফিক পাচ্ছেন। আর ট্র্যাফিক পাওয়ার মানে হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের প্রতি তারা আগ্রহী অর্থাৎ কিনতে চায়। ক্লিকসিউরের টাকা কীভাবে পাবো?
ক্লিকসিউর-এর টাকা পেওনিয়ারের মাধ্যমে আনতে পারবেন। যদি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে খুবই ভালো। প্রথম সেল পাওয়ার পর আপনার কার্ড ক্লিকসিউরে এড করতে পারবেন
এফিলিয়েট ধরণ অনুযায়ী অনেক রকম। এর মধ্যে জনপ্রিয়গুলো হচ্ছে সিপিএল, সিপিএস, সিপিএ ইত্যাদি। সিপিএল মেথডটি হচ্ছে: আপনাকে কোনো কিছু সেল করতে হবে না। শুধুমাত্র কোনো ইবুক ডাউনলোড করলে, বা কোনো ভিজিটর শুধুমাত্র তার ইমেইলটি সাবমিট করলেই আপনি পেমেন্ট পাবেন। আজকে যে প্রোডাক্টটি নিয়ে লিখবো সেখানে দেখানো হবে- কীভাবে একজন ভিজিটর শুধুমাত্র তার ইমেইল এড্রেসটি সাবমিট করলেই আপনি টাকা পাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এইক্ষেত্রে পেমেন্ট খুব কম। কারণ এখানে কোনো কিছু সেল করতে হবে না। সাধারণত একটি ইমেইল সাবমিট করার ফলে ১ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমরা যে প্রোডাক্টটি আজকে দেখবো সেক্ষেত্রে আপনি ২.৫ ডলার পাবেন প্রতিটি ইমেইল সাবমিট করাতে পারলে।
ক্লিক পার একশন বা সিপিএ নিয়ে আমি লিখেছি এই ব্লগে। এই লেখাটি পড়ার আগে অবশ্যই অবশ্যই সেটি পড়ে আসতে হবে এখান থেকে: [নতুনদের জন্য] সবচেয়ে কম পরিশ্রমে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে চান? আপনার জন্য ক্লিকসিউর…
ক্লিকসিউর এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসটি মূলত সিপিএ মেথডের জন্যই বিখ্যাত। এবং এখানে বেশিরভাগ-ই মেক মানি রিলেটেড প্রোডাক্ট। কিন্তু গত কয়েকমাস যাবৎ এই মার্কেটপ্লেসে সিপিএল বা ক্লিক পার লিড প্রোডাক্ট দেখা যাচ্ছে। আমি গত ৩ মাস যাবৎ এই প্রোডাক্টগুলো নিয়ে কাজ করেছি। সাফল্য পাওয়ার পরই কেবল আপনাদের জন্য লিখতে বসেছি। কারণ এই ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছি- এই ব্লগে এমন কিছু লেখা হবে না যা মুখস্ত লেখা হবে ইংরেজি ব্লগ থেকে অনুবাদ করে। বরং এখানে এমন টিউটোরিয়াল-ই লেখা হবে যা বাস্তবিকই লেখক কাজ করেছেন এবং সফলতা পেয়েছেন।
তো যাই হোক, চলুন প্রাকটিক্যালি কাজ করে বুঝতে চেষ্টা করি কীভাবে কোনো কিছু সেল না করেও আপনি পেমেন্ট পাবেন।
তো চলুন দেরি না করে কাজ শুরু করি। আশা করি ইতোমধ্যে ক্লিকসিউরে সাইনআপ করেছেন। এবার ক্লিকসিউরে লগিন করুন। তারপর ডান দিকের সাইডবারে দেখুন এক জায়গায় লেখা আছে- Live Marketplace. এই লেখাটার নিচে তিনটা বাটন দেখুন: Top CPA | Top CPL | RevShare. আপননি Top CPL-এ ক্লিক করুন। এখানে একটা লিস্ট দেখতে পাবেন। নিচের ছবিটি দেখুন- Top CPL List of Clicksure
Top CPL List of Clicksure
বর্তমানে এখানে ১০টি সিপিএল প্রোডাক্টের লিস্ট রয়েছে। ৯ নাম্বার প্রোডাক্টটি নিয়ে আমি কাজ করতে বলবো। কেন? কারণ এটির পেমেন্ট দ্রুত পাবেন এবং এই প্রোডাক্টটি স্ক্যাম নয়। অর্থাৎ লিড কালেক্ট করতে পারলেই পেমেন্ট পাবেন মোটামুটি নিশ্চিত। প্রোডাক্টটির নাম: TradeXPRT. বর্তমানে এটি ৯ নাম্বারে থাকলেও উপরে নিচে যেতে পারে। কেননা এই টপ টেন (Top 10) লিস্টটি প্রতিদিন-ই আপডেট হয়।
য়তো আপনি মার্কেটিং-এর অনেক কিছুই জানেন। কিংবা হয়তো আপনি ইতোমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেনে কোথায়, কীভাবে মার্কেটিং করবেন ট্র্যাফিক/ভিজিটর পাওয়ার জন্য, যারা তাদের নাম এবং ইমেইল সাবমিট করবে। যদি তাই হয়, তাহলে বলবো আপনি এডভান্স। সফলতা আপনি পাবেনই। আর যারা নতুন, এখনো বুঝতে পারছেন না কীভাবে এবং কোথায় মার্কেটিং করবেন তাদের জন্য পরবর্তী ধাপে বিস্তারিত লিখছি। মনোযোগ দিয়ে নিচের অংশটা পড়ুন, বারবার পড়ুন। আশা করি এবার আপনি এফিলিয়েটে সফলতা পাবেনই, পাবেন! ইনশাল্লাহ!! মার্কেটিং > ট্র্যাফিক/ভিজিটর > লিড কালেক্ট
উপরের ৩টা অংশ ক্রমান্বয়ে ঘটবে। একটার সাথে আরেকটা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কীভাবে? দেখুন-
আপনার এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করবেন বিভিন্ন স্থানে এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করলে ট্র্যাফিক/ভিজিটর আসবে আপনার লিংকে ট্র্যাফিক/ভিজিটররা যদি তাদের নেম এবং ইমেইল সাবমিট করে তাহলে আপনার লিড কালেক্ট হবে।
এবং লিড কালেক্ট হলেই আপনি পেমেন্ট পাবেন।
আশা করি আপনার কাছে পরিপূর্ণ ব্যাপারটা এখন ক্লিয়ার। তো প্রথমে আমরা মার্কেটিং করবো। কোথায়? অনেক অনেক স্থান আছে। আমি আপনাকে দেখাবো ফেসবুকে কীভাবে আপনার প্রোডাক্টটি মার্কেটিং করবেন। ফেসবুক মার্কেটিং
ফেসবুকে দুইভাবে মার্কেটিং করা যায় ট্র্যাফিকের জন্য:- ১. পেইড মার্কেটিং – এজন্য আপনাকে নগদ টাকা খরচ করতে হবে এবং ২. ফ্রি মার্কেটিং – সম্পূর্ণ ফ্রি মেথড। শুধু সময় ইনভেস্ট করতে হবে। আপাতত আমি ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং সম্পর্কে লিখবো। হাতে টাকা পেলে তখন পেইড মার্কেটিং করতে পারবেন।
আমার অন্য একটি লেখায় আমি ফেসবুকে ফ্রি মার্কেটিং দেখিয়েছি এখানে। লেখাটির শেষের দিকে ফেসবুক মার্কেটিং অংশটি দেখুন। এখানেও সেটি আবার রিপিট করছি-
প্রোডাক্ট পেজটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন এটি একটি মেক মানি প্রোডাক্ট। প্রোডাক্ট অওনার তার সাইটে বলছেন যে: তুমি কি যথেষ্ট টাকা ইনকাম করতে ক্লান্ত হয়ে গেছো? এটাই সময় ২০০ ডলার ডেইলি ইনকামকে ২০০০ ডলারে উন্নতি করার।
অর্থাৎ যারা এই পেজে আসবে তারা জানতে পারবে কীভাবে তাদের ইনকাম বৃদ্ধি করবে। সুতরাং অনেকেই আগ্রহী হবে এখানে নিজের ইমেইল এবং নাম সাবমিট করার জন্য।
আপনাকে যা করতে হবে… আপনার এফিলিয়েট লিংক এমন জায়গায় মার্কেটিং করতে হবে যেখানের লোকজন অনলাইন আর্নিং-এর ব্যাপারে আগ্রহী। এই জন্য আপনি ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে কিছু গ্রুপ এবং পেজ বের করুন এবং সেগুলোতে জয়েন করুন, যেগুলো মেক মানি রিলেটেড। তারপর সেখানে একটিভ হোন। যারা অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে তাদেরকে সঠিক উত্তর দিয়ে হেল্প করার চেষ্টা করুন। কেউ কোনো লিংক চাইলে গুগল থেকে সার্চ করে লিংক দিন। এভাবে কয়েকদিন যখন ঐসব গ্রুপ এবং পেজগুলোতে নিয়মিত হবেন তখন আপনাকে অনেকেই চিনবে।
এই পরিচয়টা কাজে লাগিয়ে আপনার এফিলিয়েট লিংকটা মাঝে মাঝে ঐ গ্রুপ বা পেজে শেয়ার করুন। লিংকের সাথে সুন্দর করে ইংরেজিতে লিখুন যে: যারা অনলািইন আর্নিং সঠিক ওয়েতে করতে চান এবং কম সময়ে বেশি ইনকাম চান তারা এই লিংকটি দেখতে পারেন। ভুলেও নাম এবং ইমেইল সাবমিট করতে বলবেন না। যারা প্রয়োজন মনে করবে তারা এম্নিতেই সাবমিট করবে। এভাবে কাজ করে আপনি যদি ১০টা ফেসবুক গ্রুপ এবং ১০টা ফেসবুক পেজে নিয়মিত হন তাহলে দৈনিক ২০টা যায়গা থেকে কমপক্ষে ২০টা লিড আপনি কালেক্ট করতে পারবেন সহজেই। আর হিসেব করে দেখুন ২০টা লিডের জন্য আপনি ৫০ ডলার পাবেন। তাহলে মাস শেষে আপনার ইনকাম দাঁড়াচ্ছে ১৫০০ ডলার।
কী বলেন? একমাসে ১৫০০ ডলার একেবারে কম নয়। সুতরা একটু চেষ্টা করেই দেখুন না। আরও ট্র্যাফিক মেথড চাই?
আপনি যদি শুধুমাত্র ফেসবুকে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে না চান এবং ইনকাম পরিমাণ আরও বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে এবং সময় ব্যয় করতে হবে অনেক বেশি। আরও ট্র্যাফিকের জন্য আপনি বিভিন্ন ব্লগ, ফোরাম-এ জয়েন করতে পারেন। গুগল-এ একটু খোঁজ নিলেই অনলাইন আর্নিং-এর বিভিন্ন ব্লগ এবং ফোরাম পাবেন। এছাড়াও টুইটার গুগল প্লাস, লিংকডইনসহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতেও কাজ করতে পারেন। শেষ কথা
একটু সচেতন হলেই, একটু কষ্ট করলেই সিপিএল থেকে ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব। আমাদের এই বাংলাদেশ থেকেও অনেকে অনেক ভালো ইনকাম করছে। সিপিএল নিয়ে আরও পড়াশোনা করুন, আপনার চোখের সামনে আরও অনেক অনেক মেথড উন্মেচিত হবে।
আমরা আপনাকে প্রস্তাব জানাতে চাই ইন্সটাফরেক্স পার্টনার প্রোগ্রামে যেখানে আপনি কমিশন পাবেন আপনার প্রতিটা গ্রাহক থেকে। গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত কমিশন আপনার অ্যাকাউন্ট এ জমা হয়ে যাবে যেটা আপনি সহজেই উত্তোলন করতে পাড়বেন। এর জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্ট বা ট্রেড করতে হবে না ।
আপনি যদি আগ্রহী হন অথবা যদি কোন প্রশ্ন থাকে নিঃসংকোচে আমার সাথে যোগাযোগ করুন, আমরা কৃতার্থ হব আমাদের পরস্পরের লাভ সম্পর্কে আলোচনা করতে । আমাদের এই প্রস্তাব সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
AFFILIATE MARKETING:
উত্তরমুছুনঅনলাইন আয়ের নতুন এক দিগন্ত…
ডিজিটাল এই সময়ে অনলাইনে আয়ের কথা শোনেননি এরকম কাউকে পাওয়া বোধহয় দুস্কর। অনেকে অনেক পরিশ্রম করছেন টাকা ইনকাম করার জন্য। অনেকে পারছেন আর বেশিরভাগই পারছেন না। তাদের জন্যই আজকে একটি নতুন পদ্ধতির কথা বলবো। এতো সহজে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায় তা আপনি ভাবতেও পারবেন না! খুবই সহজ। চলুন জেনে নেয়া যাক।
ক্লিকসিউর কি?
এক কথায় বলতে গেলে- ক্লিকসিউর একটি মার্কেটপ্লেস। বলে নেয়া ভালো এটা এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস। আপনি যদি এফিলিয়েট নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে ক্লিকসিউর হচ্ছে সবচেয়ে বেস্ট ওয়ে শুরু করার জন্য। এতো সহজ ইনকাম মাধ্যম আমি আর দেখিনি।
এখান থেকে এফিলিয়েট লিংক নিয়ে সেল দিতে পারলে আপনি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় এখানের একটা প্রোডাক্টের দাম ৩৯ ডলার কিন্তু আপনি যদি এটা সেল করতে পারেন তাহলে পাবেন ২৫০ ডলার। কী, অবিশ্বাস্য লাগছে? কিন্তু এটা বাস্তব এবং সেকথাই আজকে আমরা জানবো এই লেখায়।
ক্লিকসিউরে সাইন করতে এখানে ক্লিক করুন- সাইনআপ ক্লিকসিউর।(CLICKSURE.COM)
কীভাবে ক্লিকসিউরে কাজ শুরু করবেন?
উত্তরমুছুনখুবই সহজ। লগিন করার পর ক্লিকসিউরের এফিলিয়েট ড্যাশবোর্ড দেখুন- এটা আপনার ড্যাশবোর্ড। এখানে জানতে পারবেন আপনার কতটাকা ইনকাম হলো, কতজন ভিজিটর পেলেন, কোন প্রোডাক্ট বিক্রি হলো ইত্যাদি ইত্যাদি।
মার্কেটপ্লেস নামের একটা মেনু আছে। ওখানে ক্লিক করলে ক্লিকসিউর মার্কেটপ্লেসের প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবেন। এখান থেকে প্রোডাক্ট বাছাই করে মার্কেটিং শুরু করবেন। আপনার লিংক ধরে কেউ প্রোডাক্ট কিনলে আপনি আপনার পেমেন্ট পেয়ে যাবেন।
কীভাবে প্রোডাক্ট বাছাই করবো?
এটা ঠিক- ক্লিকসিউরে বেশ কিছু স্ক্যাম প্রোডাক্ট আছে। তাই প্রোডাক্ট বাছাই করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো ক্লিকসিউর টপ ১০ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করাই ভালো। সুতরাং নতুন হিসেবে আপনিও তাই করুন। পরে এক্সপার্ট হলে নিজেই বুঝতে পারবেন কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ। কোনটা মার্কেটিং করলে ভালো সেল হবে আর কোনটা একেবারেই হবে না।
মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার পর প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবেন। যেকোনো একটা প্রোডাক্টের টাইটেলে ক্লিক করুন। ঐ প্রোডাক্টের ডিটেইলস দেখতে পাবেন। প্রোডাক্ট পেজে বেশ কিছু বিষয় দেখতে পাবেন। এখানে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা দেয়া হলো। বাকীগুলো ধীরে ধীরে জানলেই হবে।
Clicksure Markeplace product page
প্রোডাক্টের টাইটেল: সবার উপরে এটা দেখতে পাচ্ছেন। এটা হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের নাম।
টাইপ: ক্লিকসিউরে সিপিএ, রেভ্যিনু শেয়ার, সিপিএল এবং এমএলটি এই চার ধরণের পোডাক্ট পাওয়া যায়। আপাতত সিপিএ সম্পর্কে জানুন এবং এই ধরণের প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করুন। সিপিএ মানে হলো: ক্লিক পার একশন। অর্থাৎ এই টাইপের একটা প্রোডাক্ট সেল হলে আপনি কত পাবেন তা আগেই নির্ধারণ করা হয়ে যায়। আরও পজিটিভ হলো: সিপিএ টাইপ প্রোডাক্ট একবার যদি সেল হয় ওটা রিফান্ড হলেও আপনার কোনো সমস্যা নেই। আপনার কমিশন আপনি পাবেনই। প্রোডাক্টের মালিক নিজের পকেট থেকে টাকা রিফান্ড দেবেন। ক্লিকসিউরের সিপিএ প্রোডাক্টের ভ্যালু থাকে ২০০ ডলার, ২৫০ ডলার বা আরও বেশি। অর্থাৎ একবার সেল হলেই আপনি ২০০-২৫০ ডলার পেয়ে যাবেন।
উইকলি নেট: এখানে ৭/১১/১৮/২৫/৩২ যেকোনো একটা দেখতে পাবেন। এর অর্থ হচ্ছে আপনার ঐ প্রোডাক্টটা সেল হওয়ার পর আপনি যে ডলার পাবেন সেটা
ক্যাম্পেইন পেআউট: এটার মানে হলো আপনি কত পাবেন যদি এই প্রোডাক্টটা একবার সেল করতে পারেন।
কান্ট্রিজ এলাউড: এই প্রোডাক্টটা আপনি কোন কোন দেশে মার্কেটিং করতে পারবেন?
জেভি ইউআরএল: এখানে একটি লিংক পাবেন। এটা একটা মাজার বিষয়। প্রোডাক্টের মালিক এই প্রোডাক্টটি কীভাবে মার্কেটিং করবেন সেসব বিষয় লিখে রেখেছেন এই জেভি পেজে। ওখান থেকে লেখা, ভিডিও ইত্যাদি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মার্কেটিং করবেন।
ল্যান্ডিং পেজেস: এই ট্যাবের অধীনে থাকা লিংকটিই হচ্ছে আপনার এফিলিয়েট লিংক ঐ প্রোডাক্টের জন্য। এভাবে ক্লিকসিউরের প্রতিটি লিংকের জন্যই আপনি আলাদা এফিলিয়েট লিংক পাবেন। এবং এই লিংকটিই আপনি মার্কেটিং করবেন। এই লিংকে ক্লিক করে এসে কেউ ঐ প্রোডাক্টটি কিনলেই আপনি আপনার প্রাপ্য টাকা পাবেন।
আশা করি উপরের ব্যাপারগুলো আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে। তারপরও কোনো সমস্যা থাকলে কমেন্টে জানান। অবশ্যই হেল্প করা হবে। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক কোথায় মার্কেটিং করবেন?
ক্লিকসিউর প্রোডাক্ট কোথায় মার্কেটিং করবো?
অবশ্যই রিচ কান্ট্রিগুলোর কমিউনিটিতে মার্কেটিং করবেন। কারণ এগুলো আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের কেউ কিনবে না। যদি আরও ডেডিকেটেড করে বলা যায় তাহলে বলতে হবে আপনি শুধুমাত্র আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য এই চারটি দেশেই শুরুতে মার্কেটিং করবেন। কেন সেটা পরে বলা হবে। তো এই দেশগুলোর কমিউনিটি কীভাবে খুঁজে পাবেন? এজন্য গুগলের সহায়তা নিন। আর আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন তাহলে আমি বলবো প্রাথমিকভাব আপনি শুধু ফেসবুক টার্গেট করুন। ফেসবুকে খুঁজলে অনেক গ্রুপ এবং ফ্যানপেজ পাবেন যেখানে লোক নানা কিছু জানতে চায়। এর মধ্যে প্রধান হলো: কীভাবে অনলাইনে টাকা ইনকাম করবো? তো ফেসবুকের এরকম গ্রুপ এবং ফ্যানপেজগুলো খুঁজে নিয়ে ওগুলোতে জয়েন করুন। কিছুদিন ঐ গ্রুপ এবং ফ্যানপেজগুলো দেখার পর ওগুলোতে আপনার প্রোডাক্টের লিংকসহ মার্কেটিং করুন এভাবে: “এটা এই প্রোডাক্ট, এটা দিয়ে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। তুমি এটা কিনে চেষ্টা করে দেখতে পারো। আর যদি না পারো তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে তুমি তোমার টাকা ফেরত নিতে পারবে।”
এইরকমই হবে আপনার বক্তব্য। এভাবে প্রতিদিন যদি ১০০টা গ্রুপ এবং ফ্যানপেজে মন্তব্য করেন দেখবেন আপনি ট্র্যাফিক পাচ্ছেন। আর ট্র্যাফিক পাওয়ার মানে হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টের প্রতি তারা আগ্রহী অর্থাৎ কিনতে চায়।
ক্লিকসিউরের টাকা কীভাবে পাবো?
ক্লিকসিউর-এর টাকা পেওনিয়ারের মাধ্যমে আনতে পারবেন। যদি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে খুবই ভালো। প্রথম সেল পাওয়ার পর আপনার কার্ড ক্লিকসিউরে এড করতে পারবেন
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনক্লিক পার লিড (CPL)
উত্তরমুছুনএফিলিয়েট ধরণ অনুযায়ী অনেক রকম। এর মধ্যে জনপ্রিয়গুলো হচ্ছে সিপিএল, সিপিএস, সিপিএ ইত্যাদি। সিপিএল মেথডটি হচ্ছে: আপনাকে কোনো কিছু সেল করতে হবে না। শুধুমাত্র কোনো ইবুক ডাউনলোড করলে, বা কোনো ভিজিটর শুধুমাত্র তার ইমেইলটি সাবমিট করলেই আপনি পেমেন্ট পাবেন। আজকে যে প্রোডাক্টটি নিয়ে লিখবো সেখানে দেখানো হবে- কীভাবে একজন ভিজিটর শুধুমাত্র তার ইমেইল এড্রেসটি সাবমিট করলেই আপনি টাকা পাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এইক্ষেত্রে পেমেন্ট খুব কম। কারণ এখানে কোনো কিছু সেল করতে হবে না। সাধারণত একটি ইমেইল সাবমিট করার ফলে ১ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমরা যে প্রোডাক্টটি আজকে দেখবো সেক্ষেত্রে আপনি ২.৫ ডলার পাবেন প্রতিটি ইমেইল সাবমিট করাতে পারলে।
ক্লিক পার একশন বা সিপিএ নিয়ে আমি লিখেছি এই ব্লগে। এই লেখাটি পড়ার আগে অবশ্যই অবশ্যই সেটি পড়ে আসতে হবে এখান থেকে: [নতুনদের জন্য] সবচেয়ে কম পরিশ্রমে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে চান? আপনার জন্য ক্লিকসিউর…
ক্লিকসিউর এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসটি মূলত সিপিএ মেথডের জন্যই বিখ্যাত। এবং এখানে বেশিরভাগ-ই মেক মানি রিলেটেড প্রোডাক্ট। কিন্তু গত কয়েকমাস যাবৎ এই মার্কেটপ্লেসে সিপিএল বা ক্লিক পার লিড প্রোডাক্ট দেখা যাচ্ছে। আমি গত ৩ মাস যাবৎ এই প্রোডাক্টগুলো নিয়ে কাজ করেছি। সাফল্য পাওয়ার পরই কেবল আপনাদের জন্য লিখতে বসেছি। কারণ এই ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছি- এই ব্লগে এমন কিছু লেখা হবে না যা মুখস্ত লেখা হবে ইংরেজি ব্লগ থেকে অনুবাদ করে। বরং এখানে এমন টিউটোরিয়াল-ই লেখা হবে যা বাস্তবিকই লেখক কাজ করেছেন এবং সফলতা পেয়েছেন।
তো যাই হোক, চলুন প্রাকটিক্যালি কাজ করে বুঝতে চেষ্টা করি কীভাবে কোনো কিছু সেল না করেও আপনি পেমেন্ট পাবেন।
ক্লিকসিউর ক্লিক পার লিড কাজ করার প্রক্রিয়া
উত্তরমুছুনতো চলুন দেরি না করে কাজ শুরু করি। আশা করি ইতোমধ্যে ক্লিকসিউরে সাইনআপ করেছেন। এবার ক্লিকসিউরে লগিন করুন। তারপর ডান দিকের সাইডবারে দেখুন এক জায়গায় লেখা আছে- Live Marketplace. এই লেখাটার নিচে তিনটা বাটন দেখুন: Top CPA | Top CPL | RevShare. আপননি Top CPL-এ ক্লিক করুন। এখানে একটা লিস্ট দেখতে পাবেন। নিচের ছবিটি দেখুন-
Top CPL List of Clicksure
Top CPL List of Clicksure
বর্তমানে এখানে ১০টি সিপিএল প্রোডাক্টের লিস্ট রয়েছে। ৯ নাম্বার প্রোডাক্টটি নিয়ে আমি কাজ করতে বলবো। কেন? কারণ এটির পেমেন্ট দ্রুত পাবেন এবং এই প্রোডাক্টটি স্ক্যাম নয়। অর্থাৎ লিড কালেক্ট করতে পারলেই পেমেন্ট পাবেন মোটামুটি নিশ্চিত। প্রোডাক্টটির নাম: TradeXPRT. বর্তমানে এটি ৯ নাম্বারে থাকলেও উপরে নিচে যেতে পারে। কেননা এই টপ টেন (Top 10) লিস্টটি প্রতিদিন-ই আপডেট হয়।
য়তো আপনি মার্কেটিং-এর অনেক কিছুই জানেন। কিংবা হয়তো আপনি ইতোমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেনে কোথায়, কীভাবে মার্কেটিং করবেন ট্র্যাফিক/ভিজিটর পাওয়ার জন্য, যারা তাদের নাম এবং ইমেইল সাবমিট করবে।
উত্তরমুছুনযদি তাই হয়, তাহলে বলবো আপনি এডভান্স। সফলতা আপনি পাবেনই। আর যারা নতুন, এখনো বুঝতে পারছেন না কীভাবে এবং কোথায় মার্কেটিং করবেন তাদের জন্য পরবর্তী ধাপে বিস্তারিত লিখছি। মনোযোগ দিয়ে নিচের অংশটা পড়ুন, বারবার পড়ুন। আশা করি এবার আপনি এফিলিয়েটে সফলতা পাবেনই, পাবেন! ইনশাল্লাহ!!
মার্কেটিং > ট্র্যাফিক/ভিজিটর > লিড কালেক্ট
উপরের ৩টা অংশ ক্রমান্বয়ে ঘটবে। একটার সাথে আরেকটা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কীভাবে? দেখুন-
আপনার এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করবেন বিভিন্ন স্থানে
এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করলে ট্র্যাফিক/ভিজিটর আসবে আপনার লিংকে
ট্র্যাফিক/ভিজিটররা যদি তাদের নেম এবং ইমেইল সাবমিট করে তাহলে আপনার লিড কালেক্ট হবে।
এবং লিড কালেক্ট হলেই আপনি পেমেন্ট পাবেন।
আশা করি আপনার কাছে পরিপূর্ণ ব্যাপারটা এখন ক্লিয়ার। তো প্রথমে আমরা মার্কেটিং করবো। কোথায়? অনেক অনেক স্থান আছে। আমি আপনাকে দেখাবো ফেসবুকে কীভাবে আপনার প্রোডাক্টটি মার্কেটিং করবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং
ফেসবুকে দুইভাবে মার্কেটিং করা যায় ট্র্যাফিকের জন্য:-
১. পেইড মার্কেটিং – এজন্য আপনাকে নগদ টাকা খরচ করতে হবে এবং
২. ফ্রি মার্কেটিং – সম্পূর্ণ ফ্রি মেথড। শুধু সময় ইনভেস্ট করতে হবে। আপাতত আমি ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং সম্পর্কে লিখবো। হাতে টাকা পেলে তখন পেইড মার্কেটিং করতে পারবেন।
আমার অন্য একটি লেখায় আমি ফেসবুকে ফ্রি মার্কেটিং দেখিয়েছি এখানে। লেখাটির শেষের দিকে ফেসবুক মার্কেটিং অংশটি দেখুন। এখানেও সেটি আবার রিপিট করছি-
প্রোডাক্ট পেজটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন এটি একটি মেক মানি প্রোডাক্ট। প্রোডাক্ট অওনার তার সাইটে বলছেন যে: তুমি কি যথেষ্ট টাকা ইনকাম করতে ক্লান্ত হয়ে গেছো? এটাই সময় ২০০ ডলার ডেইলি ইনকামকে ২০০০ ডলারে উন্নতি করার।
অর্থাৎ যারা এই পেজে আসবে তারা জানতে পারবে কীভাবে তাদের ইনকাম বৃদ্ধি করবে। সুতরাং অনেকেই আগ্রহী হবে এখানে নিজের ইমেইল এবং নাম সাবমিট করার জন্য।
আপনাকে যা করতে হবে…
আপনার এফিলিয়েট লিংক এমন জায়গায় মার্কেটিং করতে হবে যেখানের লোকজন অনলাইন আর্নিং-এর ব্যাপারে আগ্রহী। এই জন্য আপনি ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে কিছু গ্রুপ এবং পেজ বের করুন এবং সেগুলোতে জয়েন করুন, যেগুলো মেক মানি রিলেটেড। তারপর সেখানে একটিভ হোন। যারা অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে তাদেরকে সঠিক উত্তর দিয়ে হেল্প করার চেষ্টা করুন। কেউ কোনো লিংক চাইলে গুগল থেকে সার্চ করে লিংক দিন। এভাবে কয়েকদিন যখন ঐসব গ্রুপ এবং পেজগুলোতে নিয়মিত হবেন তখন আপনাকে অনেকেই চিনবে।
এই পরিচয়টা কাজে লাগিয়ে আপনার এফিলিয়েট লিংকটা মাঝে মাঝে ঐ গ্রুপ বা পেজে শেয়ার করুন। লিংকের সাথে সুন্দর করে ইংরেজিতে লিখুন যে: যারা অনলািইন আর্নিং সঠিক ওয়েতে করতে চান এবং কম সময়ে বেশি ইনকাম চান তারা এই লিংকটি দেখতে পারেন। ভুলেও নাম এবং ইমেইল সাবমিট করতে বলবেন না। যারা প্রয়োজন মনে করবে তারা এম্নিতেই সাবমিট করবে। এভাবে কাজ করে আপনি যদি ১০টা ফেসবুক গ্রুপ এবং ১০টা ফেসবুক পেজে নিয়মিত হন তাহলে দৈনিক ২০টা যায়গা থেকে কমপক্ষে ২০টা লিড আপনি কালেক্ট করতে পারবেন সহজেই। আর হিসেব করে দেখুন ২০টা লিডের জন্য আপনি ৫০ ডলার পাবেন। তাহলে মাস শেষে আপনার ইনকাম দাঁড়াচ্ছে ১৫০০ ডলার।
কী বলেন? একমাসে ১৫০০ ডলার একেবারে কম নয়। সুতরা একটু চেষ্টা করেই দেখুন না।
আরও ট্র্যাফিক মেথড চাই?
আপনি যদি শুধুমাত্র ফেসবুকে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে না চান এবং ইনকাম পরিমাণ আরও বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে এবং সময় ব্যয় করতে হবে অনেক বেশি।
আরও ট্র্যাফিকের জন্য আপনি বিভিন্ন ব্লগ, ফোরাম-এ জয়েন করতে পারেন। গুগল-এ একটু খোঁজ নিলেই অনলাইন আর্নিং-এর বিভিন্ন ব্লগ এবং ফোরাম পাবেন। এছাড়াও টুইটার গুগল প্লাস, লিংকডইনসহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতেও কাজ করতে পারেন।
শেষ কথা
একটু সচেতন হলেই, একটু কষ্ট করলেই সিপিএল থেকে ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব। আমাদের এই বাংলাদেশ থেকেও অনেকে অনেক ভালো ইনকাম করছে। সিপিএল নিয়ে আরও পড়াশোনা করুন, আপনার চোখের সামনে আরও অনেক অনেক মেথড উন্মেচিত হবে।
উত্তরমুছুনvar uid = '101114';
var wid = '197512';
শুভেচ্ছা জানাচ্ছি,
উত্তরমুছুনআমি ইন্সটাফরেক্স পার্টনার ম্যানেজার।
আমরা আপনাকে প্রস্তাব জানাতে চাই ইন্সটাফরেক্স পার্টনার প্রোগ্রামে যেখানে আপনি কমিশন পাবেন আপনার প্রতিটা গ্রাহক থেকে। গ্রাহকদের থেকে প্রাপ্ত কমিশন আপনার অ্যাকাউন্ট এ জমা হয়ে যাবে যেটা আপনি সহজেই উত্তোলন করতে পাড়বেন। এর জন্য আপনাকে কোন ইনভেস্ট বা ট্রেড করতে হবে না ।
আপনি যদি আগ্রহী হন অথবা যদি কোন প্রশ্ন থাকে নিঃসংকোচে আমার সাথে যোগাযোগ করুন, আমরা কৃতার্থ হব আমাদের পরস্পরের লাভ সম্পর্কে আলোচনা করতে । আমাদের এই প্রস্তাব সম্পর্কে আপনার মতামত অবশ্যই আমাকে জানাবেন।
ধন্যবাদ। অপেক্ষা করছি আপনার আগ্রহ সম্পর্কে জানতে।